কিছু গোলাপি-হলুদ ল্যান্টানা
**************************
একদিন তোমার সঙ্গে চা-বাগান দেখতে যাব।
তোমার দেওয়া আমার ডাকনাম ভুলে এগিয়ে যাওয়া
এক্সপ্রেস ট্রেন ভরদুপুরে নামিয়ে দেবে আমাদের
নাম না জানা, কোন ফাঁকা স্টেশনে।
লাইনের দু’পাশে কুড়িয়ে নেব আমরা,
সহযাত্রীদের অযত্নে জানালা দিয়ে
পাকিয়ে ফেলে দেওয়া অজস্র সময়।
সেইসব নষ্ট সময়ের সুতোর গালিচায়
আমরা শুনে আসব, মধ্যরাতের অন্ধকারে মিশে যাওয়া দুই পাহাড়ি নদীর শীৎকার।
একদিন তোমার সঙ্গে দেখতে যাব পাহাড়ের বাঁকে
ফুটে থাকা, গোলাপি-হলুদ ল্যান্টানা ফুল।
শেষরাতে রাঙিয়ে দেব তাই দিয়ে আমরা
পরিত্যক্ত পাহাড়ি কোন কবরখানা।
সাজিয়ে দেব নাম মুছে যাওয়া
মার্বেল সজ্জিত, জরাজীর্ণ
আর, পরিজনের শ্বেত-শুভ্র ভালোবাসা মাখা কবরের সারি।
ঘাসের উপর জমা কিছু বরফের কুচি সকালের প্রথম আলোয় চোখ মেলে দেখবে
ল্যান্টানার রঙে উদ্ভাসিত পরিত্যক্ত কবরখানায়
পাইন বনের কলরোল।
একদিন তোমার সঙ্গে সূর্যাস্ত দেখতে যাব।
পুরোন শহরের সর্পিল যানজট, যদি
আটকে দাঁড়ায় আমাদের পথ
উঠে যাব আমরা কোন উঁচু বাড়ির ছাদে!
আমার একাকীত্বের চেয়েও দীর্ঘ
অন্য কোন অফিসবাড়ির কাঁচের দেওয়াল থেকে
যদি, শেষ বিকেলের সোনালি আলোর কিছুটা উছলে
অবশিষ্টাংশ আশ্রয় পায় তোমার চুলে –
বিকেলের অনুরোধে, ছাদে শব্দ বিছিয়ে বসে
অপেক্ষা করব আমরা, সূর্য ডোবার।
নইলে যানজটে অবরুদ্ধ শহরে শুধু একবার
আমার ডাকনাম ধরে ডেকো।
দেবাঞ্জন বাগচী।
Leave a Reply