দূরে কোথাও
**************
লেলিহান শিখায় শেষবার তোমার মুখ,
মনে করিয়ে দিল শেষ বিকেলের লালচে আভার কথা।
আকাশছোঁয়া বাড়িগুলির জানালায়, আলোকময় সন্ধ্যা
ছুঁয়ে থেকে যায় রাত্রির অন্ধকার।
অন্ধকার রাত!
যখন, লুব্ধক চার প্রহরে ধীর পায়ে পেরোয়
আরও কিছুটা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ,
যখন চারটি প্রহর পেরিয়ে আরও কিছুটা ঝাপসা হয়
স্মৃতিসৌধে লেখা নিকটজনের নাম,
আগের যাত্রীর নামের তালিকা ও গন্ধ শরীর থেকে মুছে
ফিরে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন, আর
কষ্টার্জিত অভ্যাসে শরীর খুঁজে বের করে
অন্য এক বীতরাগ শরীর,
রাতের মায়াবী মিথ্যাগুলি জোনাকির মতন
একরাত বেঁচে সকালে মরে যায়।
ভোরে কিছু কি বলতে চেয়েছিলে আজ?
চিনতে পারেনি কেউ। জানতেও পারেনি,
তোমার কুঞ্চিত ত্বকের প্রতিটি ভাঁজে
লুকিয়ে ছিল মহাকালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
সেগুলো শোনা হল না,
হয়ত নিজেও বলনি নিজেকে।
এক মরুভূমি ভরা শহুরে ব্যস্ততার মাঝে
নিজেরাই তো সবচেয়ে কম শুনি নিজের কথা।
দেবাঞ্জন বাগচী
Leave a Reply